,

অবশেষে ঘর পেলেন নিঃসন্তান বিধবা রোকেয়া

জেলা প্রতিনিধি, ফরিদপুর: অবশেষে নতুন ঘরে উঠলেন সেই ষাটোর্ধ নিঃসন্তান বিধবা রোকেয়া বেগম (রুকি)। শুরু করেছেন বসবাসও। এই ষাটোর্ধ নিঃসন্তান বিধবা মহিলা ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মেহেরদিয়া গ্রামের মৃত সোহরাফ মাতুব্বরের স্ত্রী। তবে থাকেন মরহুম পিতা আকমল মুন্সীর ভিটায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিধবা রোকেয়াকে ঘর দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাছলিমা আকতার রোকেয়া বেগমের বাড়ীতে গিয়ে বসত বাড়ী পরিদর্শন করেন এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে নতুন ঘরে উঠিয়ে দেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগম, উপজেলা প্রকৌশলী মো. তৌহিদুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও আশ্রায়ণ প্রকল্প সচিব পরিতোষ বাড়ৈ, গট্টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান লাভলু প্রমূখ।

সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. তাছলিমা আকতার বলেন, আমরা পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি ষাটোর্ধ বিধবা রোকেয়া বেগম নামক একজন মহিলা আছে। যার ছেলে-মেয়ে, স্বামী, সন্তান, ভাই-বোন কেউ নাই। সে অসহায় অবস্থায় আছে। তার ভিটা আছে কিন্তু সে সরকারি জায়গায় যেতে চান না। পরবর্তীতে আমরা উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের সাথে আলোচনা করে ৫০ হাজার টাকা অনুদান পাই। পরে ওই টাকা দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে একটু মাথা গোঁজার ঠাই করে দেই। পাঁশাপাশি তিনি রোকেয়াকে ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। তিনি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দেন এমন একজন অসহায় নারীর বিষয়টি তুলে ধরার জন্য।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি “সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পায়নি ষাটোর্ধ্ব নিঃসন্তান বিধবা রোকেয়া” এ শিরোনামে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।

এই বিভাগের আরও খবর